Breaking News:
লোড হচ্ছে...

মানিকগঞ্জ-০১ আসনে এগিয়ে ড. খন্দকার বাবলু — জনমনে নব আশার আলো

 


নিজস্ব প্রতিবেদক:

 জেলা বিএনপির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের নাম মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন  ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও পাঁচ পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদের তিন তিনবারের সফল চীফ হুইপ এবং সপ্তম সংসদে প্রধান বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ। ১/১১-এর কঠিন সময়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের মুখে নিজের জীবন বাজি রেখে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের পাশে থেকে যে সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, তা আজও বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অম্লান।


সেই মহান নেতার আদর্শের উত্তরসূরি হিসেবে তার সুযোগ্য সন্তান ড. খোন্দকার বাবলু আজ মানিকগঞ্জ-০১ (ঘিওর-দৌলতপুর-শিবালয়) আসনে বিএনপির আশার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। পিতার ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও দেশপ্রেমের আদর্শ বুকে ধারণ করে তিনি আজও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জনগণের জন্য, দলের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য।


বর্তমানে ড. বাবলু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ঘোষিত “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি” বাস্তবায়নে মাঠে-ময়দানে দিনরাত ছুটে বেড়াচ্ছেন। তিনি ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়ের গ্রাম থেকে গ্রাম, হাটে-বাজারে, নগর-বন্দরে, চরাঞ্চল থেকে নদীবেষ্টিত এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন ৩১ দফার বার্তা নিয়ে।


মানুষের ঘরে ঘরে তিনি তুলে ধরছেন "৩১ দফা মানে দেশের প্রতিটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা ও সুশাসনের নিশ্চয়তা।”


ডা. বাবলু বলেন,“আমি বিএনপির জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। আমার পিতা ছিলেন বিএনপির মহাসচিব — যিনি নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছিলেন দল ও দেশের জন্য। আমিও তার পথেই চলেছি। মানিকগঞ্জ-০১ আসনের জনগণকে নিয়ে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করছি। আমার রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, ব্যক্তিস্বার্থে নয়।আমার লক্ষ্য বিএনপিকে একটি দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, গণমুখী ও আদর্শিক রাজনৈতিক দলে পরিণত করা। এজন্য আমি মাঠের প্রতিটি নেতা-কর্মীর ওপর নিবিড় নজর রাখছি যাতে কেউ প্রতিপক্ষের ফাঁদে না পড়ে বা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ না হয়।”

ড. বাবলু জানান, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে আমাকে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপকের পদ থেকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু আমি ন্যায়ের পথে, আদর্শের পথে কোনোদিন পিছপা হইনি। বরং এই অবিচার আমাকে আরও দৃঢ় করেছে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের আন্দোলনে।”

নির্বাচনকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জ-০১ আসনে ভোটারদের মধ্যে ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন ড. খন্দকার বাবলু। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, গ্রহণযোগ্য ও জনসম্পৃক্ত প্রার্থী ড. বাবলু।”


গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চল সর্বত্রই এখন একটাই স্লোগান শোনা যায়: “জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত সৈনিক, জনগণের প্রিয় নেতা ড. খন্দকার বাবলু।”


রাজনৈতিকভাবে সচেতন নাগরিকরা বলছেন, ড. বাবলু শুধু রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন সমাজসেবকও। চিকিৎসক হিসেবেও মানুষের পাশে থেকে দীর্ঘদিন ধরে মানবিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে জনগণের আস্থা, ভালোবাসা ও বিশ্বাসে তিনি আজ সবচেয়ে অগ্রগামী প্রার্থী।


আগামী জাতীয় নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-০১ আসনে বিএনপির ব্যানারে যদি প্রার্থী হন, তাহলে খোন্দকার ড. খোন্দকার বাবলু যে অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছেন, তা ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

No comments