Breaking News:
লোড হচ্ছে...

৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হোন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন — আহ্বান ড. খোন্দকার বাবলুর


সোলায়মান স্টাফ রির্পোটারঃ

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ঘিওর,দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলা বিএনপি এবং সকল অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই হাজার হাজার নেতা কর্মী মিছিল সহকারে অনুষ্ঠানস্থান পরিপূর্ণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য মানিকগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষিবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু।

এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বলেন, ৭ নভেম্বরের বিলম্ব ও সংহতি দিবসের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে  ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণ করতে হবে। আর সেজন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মূহুর্তে অত্যন্ত জরুরী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে নিদারুণ দুঃসময়ে দেশপ্রেমিক জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যেভাবে স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেভাবেই জাতীয় সংকটের মুহূর্তে তিনি জাতির রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। জিয়ার বাংলাদেশ কখনও পরাধীন হবে না - এদেশ পার্শ্ববর্তী শক্তির সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলবে।’

৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিষ্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চুড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিষ্টরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালাতে সুযোগ দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সকল রাজনীতি বন্ধ করে ‘বাকশাল’ কায়েম করেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন।

এসময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ের জন্য একসাথে কাজ করতে দলীয় নেতা- কর্মিদের প্রতি তিনি আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, দলের স্বার্থে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। মনোনয়ন যাকেই দেওয়া হোক না কেন, ধানের শীষের বিজয়ের জন্য প্রত্যেক নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভাজন ও কোন্দল ভুলে গিয়ে একে অপরের সহযোগী হয়ে কাজ করতে হবে। বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল — এখানে মতভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের শক্তি।

আলোচনা সভায় প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কনিষ্ঠপুত্র খোন্দকার আকতার হামিদ পবনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের দুই কন্যা কণ্ঠশিল্পী ডাঃ খোন্দকার আকতারা খাতুন লুনা ও ডাঃ দেলায়ারা বেগম পান্না।

সভায় বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সচল হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের মধ্যদিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বিএনপি। তারা বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বাংলাদেশে একটি জনগণভিত্তিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যেখানে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা থাকবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন-মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ মাষ্টার, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক  নুরুল ইসলাম কুন্টু, শিবালয় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিউল আলম বিল্টু, মানিকগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট ইউনুস, বাঁচামারা কলেজের প্রিন্সিপাল রোকনউদ্দিন প্রমুখ।

No comments